“ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা, সব শিশুরই অন্তরে” টি এস পি কমপ্লেক্স সেকেন্ডারী স্কুল, শিশুর পিতা আবিষ্কারের একটি প্রস্ফুটিত শিক্ষালয়। ১৯৭৯ সনে যার ভিত্তি, ১৯৮৬ সন হতে অদ্যাবধি তার সমৃদ্ধি। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের আনাচে কানাচে এ শিক্ষালয়ের সমৃদ্ধ ও সৃষ্ট শিশুর পিতারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। নিঃসন্দেহে, শিক্ষার্থীদের এ অবস্থান সুন্দর অতীতের বাহন ও সোনালী ভবিষ্যতের যোগান। বিগত প্রায় একযুগ পেরিয়ে অদ্যাবধি এ শিক্ষালয় এসএসসি, জেএসসি ও পিইসি পরীক্ষায় সম্মানজনক জিপিএ ৫ সহ শতভাগ পাশের রেকর্ড অব্যাহত রেখেছে। এ সফলতার জন্য টি এস পি ম্যানেজমেন্ট, সিবিএ’র সম্মানিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অভিভাবক মহলের সক্রিয় এবং আন্তরিক সহযোগিতাকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সমৃদ্ধির যুগে বিসিআইসির আঙ্গিনায় টিএসপি কমপ্লেক্স সেকেন্ডারী স্কুল- ক্ষুদে শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখছে। তাদেরকে সুশৃঙ্খল, সৎ ও নিষ্ঠাবান পিতা হিসেবে উপহার দেয়ার জন্য এ শিক্ষালয় এ মূহুর্ত থেকে সম্মানিত অভিভাবকদের সাথে প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদানের সেতু তৈরী করছে। তাঁদের যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে উন্নত জীবন গড়ে তোলা এবং জাতিকে আদর্শ পিতা উপহার দেয়াও সম্ভব। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের চোখ, কান খোলা রেখে ‘স্কুল টাইমের’ বাহিরের জগতে তাদের প্রতি অধিকতর যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। কারণ, আমরা-আপনারা সবাই জানি, “একটুখানি ভুলের তরে, কাঁদে মানুষ জীবন ভরে।” সংশ্লিষ্ট সকলকে সবিনয়ে জ্ঞাত করছি যে, বিদ্যালয়ের চলমান শতভাগ ফলাফলে আমরা তৃপ্ত হলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। গুণগত মান ১০০% অর্জিত হলে হয়তঃ আমরা পরিপূর্ণতার প্রথম সিঁড়িতে পা রাখতে পারবো। এক্ষেত্রে, সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়, প্রশাসন বিভাগ ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কালজয়ী পরামর্শকে পুঁজি করে আমরা এগিয়ে যাবো, ইনশাল্লাহ। “অতীতের চেয়ে নিশ্চয়ই ভাল হবেরে ভবিষ্যত।” শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিক্ষিকা, অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের ঘনিষ্ট ও সচল তথ্য যোগাযোগের মাধ্যমে ‘সুন্দর ও নিশ্চিত ভবিষ্যত’ উপহার দেয়ার জন্য মহান আল্লাহতালার সাহায্য কামনা করছি। সাথে সাথে, সংশ্লিষ্ট সকল মহলের কল্যাণ প্রত্যাশী।
-জমির আহামদ
প্রধান শিক্ষক